Wednesday 16 May 2012

একটি অত্যন্ত জরুরী টেকি পোস্ট (সকলের জন্য অবশ্যপাঠ্য)

কথায় বলে নাপিত দেখলে নোখ বাড়ে, আমার অবস্থাও হয়েছে তাই ব্লগে আমাদের টেকি ভাইবোনেরা কত ভালো ভালো টেকি তথ্যবহুল পোস্ট দেন, আমারও খুব ইচ্ছে করে ওরকম দিতে আমার কতদিনের স্বপ্ন, আমি একটা ভালো টেকি পোস্ট দেবো, সেই পোস্ট পড়ে সকলের চোখ ছলছল করে উঠবে, কর্তৃপক্ষ সেধে সেধে আমার সেই পোস্টটা স্টিকি করে দেবে! নাহয় আমি টেকি তেমন কিছু জানি না, তাই বলে কি আমার এমন সাধ হতে পারে না???
আসুন দেখা যাক এই অত্যন্ত জরুরি (!) টেকি ইনফর্মেশনগুলো কি কি হতে পারে… 
. যদি আপনি ডেস্কটপ ব্যবহারকারী/কারিনী হয়ে থাকেন তবে খেয়াল করুন আপনার সিপিইউ এর গায়ে একটা বড়সড় গোলগাল বাটন আছে, ওটায় চাপ দিলে পিসির পাওয়ার অন হবে
. যদি বাসায় কারেন্ট না থাকে তবে কিন্তু বাটনে চাপ দিয়ে কোনও লাভ নেইমুহাহাহাহা… 
. যদি পাওয়ার অন করার পরে কোনও একসময় নেহাতই পিসি বন্ধ করতে চান তবে কিন্তু আবার ডাইরেক্ট বাটনে টিপি দিলে ঝামেলা আছে, কাজেই স্টার্ট মেনু থেকে শাট ডাউন সিলেক্ট করতে হবে (স্টার্ট মেনু চেনেন তো? নাকি সেটাও… ) 
. মাঝেমাঝে পিসি হ্যাং হয়ে গেলে একদম ধরে কষে দুটো চাঁটি মারবেন, মাইরের উপ্রে কুনো ঔষুধ নাই!

. পিসি কিনতে গেলেই দেখবেন দোকানদার মাউস বলে একটা জিনিস গছিয়ে দেবে। কিন্তু ঘেন্না বা ভয়ের কিছু নেই, এই মাউস তো আর সেই মাউস নয়!
. মেসেঞ্জার বলে একটা বস্তু আছে, ওটাতে গেলে দুনিয়াসুদ্ধু লোকের সাথে কথা বলা যায় (আজাইরা টাংকি মারার একেবারে অব্যর্থ অস্ত্র!)
. আবার ওয়েবক্যাম বলে একটা জিনিস আছে, পিসির সাথে যদি ওটা একটা লাগিয়ে নিতে পারেন, তাহলে তো আরও মজা, মেসেঞ্জারে যার সাথে টাংকি মারবেন তার খোমাও দেখতে পাবেন!
. ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের কোনও এক জায়গায় দেখবেন একটা লম্বাটে ফাঁকা জায়গা বা নাশ্তার ট্রে এর মত ট্রে জাতীয় একটা স্পেস আছে, ওখানে যদি একটা সিডি (মানে গোল্লা একটা চাকতি টাইপের জিনিস আর কি) বসিয়ে দিতে পারেন তাহলেই আর চিন্তা কি, ইচ্ছামতন মুভি দেখতে পারবেন

. আজকাল পেন ড্রাইভ বলে একটা জিনিস পাওয়া যায়, খালি নামেইপেন’, আসলে কিন্তু ওটা দিয়ে এক অক্ষরও লেখা যায় না! (কুন গাধায় যে বানাইসে এই পেন!)
১০. মানুষজন দেখি আজকাল এক্সটারনাল/পোর্টেবল হার্ডডিস্ক ড্রাইভ নিয়া খুবই উত্তেজিত। আরে বাবা, কোনও দরকার আছে এইগুলার? আমি তো এখনও মহাসুখে ফ্লপি দিয়ে কাজ চালাই!
আপাততঃ এই ১০টাই থাকুক, পরে আরও মনে পড়লে আরও দেবো। আপনারাও কয়েকটা বলুন না, এখানে যোগ করে দিই, সবার কত উপকার হবে তাহলে একবার ভেবে দেখুন। স্কুলে যে আমরা এত রচনা মুখস্থ করতামপরসেবাই বড় সেবা, মানবজীবন মানেই পরহিতব্রতে আত্মত্যাগসেটাও এই সুযোগে একটু চর্চা হয়ে যাক না!


No comments:

Post a Comment