সন্তর্পণে দরজা খুলে মেয়েটি ঘরে ঢোকাল ছেলেটিকে।
‘বাসায় কেউ নেই?’ ছেলেটি জিজ্ঞেস করল।
‘নেই।’
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে মেয়েটি বলল,
‘আমাদের হাতে আছে পাঁচ মিনিট সময়। তারপর মা এসে পড়বে।’
‘কিন্তু এই সময়ে আমরা কুলিয়ে উঠতে পারব তো?’ দ্বিধাগ্রস্ত স্বরে প্রশ্ন করল ছেলেটি। ‘তুমি হয়তো বিশ্বাস করবে না, কিন্তু তোমাকে অকপটে একটা স্বীকারোক্তি করতে চাই।’
‘বাসায় কেউ নেই?’ ছেলেটি জিজ্ঞেস করল।
‘নেই।’
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে মেয়েটি বলল,
‘আমাদের হাতে আছে পাঁচ মিনিট সময়। তারপর মা এসে পড়বে।’
‘কিন্তু এই সময়ে আমরা কুলিয়ে উঠতে পারব তো?’ দ্বিধাগ্রস্ত স্বরে প্রশ্ন করল ছেলেটি। ‘তুমি হয়তো বিশ্বাস করবে না, কিন্তু তোমাকে অকপটে একটা স্বীকারোক্তি করতে চাই।’
‘কী স্বীকারোক্তি?’
‘জানো, আমি আগে কখনো…মানে, আমার জীবনে এই প্রথম…’
‘হতেই পারে না!’ ভারি অবাক হলো মেয়েটি।
‘সত্যি বলছি, আগে কক্ষনো…’
‘বিশ্বাসই হয় না,’ মেয়েটি বলল। ‘তোমার বয়স কত?’
‘আঠারো।’
‘আঠারো?! অথচ কখনো…সত্যি বিরল ঘটনা। তুমি সত্যি সত্যিই কখনো…’
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, সত্যি।’
‘অসুবিধে নেই। সব ভার ছেড়ে দাও আমার ওপর। দেখো, কী যে তৃপ্তি! ভুলতে পারবে না।’
মেয়েটি তারপর তাকে বেডরুমে ঢুকিয়ে বসাল বিছানার ওপরে। পর্দা টেনে দিয়ে চালু করে দিল মৃদু সংগীত।
‘একটু অপেক্ষা করো,’ মেয়েটি বলল ফিসফিস করে। ‘আমি এখনই আসছি।’
দরজার আড়ালে হারিয়ে গেল সে।
জল পড়ার ঝিরঝির শব্দ ছেলেটির কানে বেজে উঠল পরিচিত গানটির মতো ‘পাঁচ মিনিট, পাঁচ মিনিট…’
‘তুমি রেডি? আমি আসছি,’ শোনা গেল মেয়েটির গলা। ‘আর একটু ধৈর্য ধরো…আর এক সেকেন্ড। ব্যস, চোখ বন্ধ করো।’
ভেসে এল পায়ের মৃদু শব্দ, অবর্ণনীয় সুগন্ধ।
চোখ-বন্ধ-করা অবস্থাতেই দুহাত সামনে বাড়িয়ে ধরল ছেলেটি। তার হাতের তালু অনুভব করল উষ্ণতা আর আর্দ্রতা।
চোখ খুলে সে দেখল বড় এক বাটি। সেখান থেকেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে নুডলসের ক্ষুধাবর্ধক সুবাস।
‘দেখলে তো,’ বলে মেয়েটি পরশ করল ছেলেটির গালে। ‘বলেছিলাম না, পাঁচ মিনিট! এটা হলো ইনস্ট্যান্ট নুডলস। খাও, জলদি খাও, নয়তো ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।’
‘জানো, আমি আগে কখনো…মানে, আমার জীবনে এই প্রথম…’
‘হতেই পারে না!’ ভারি অবাক হলো মেয়েটি।
‘সত্যি বলছি, আগে কক্ষনো…’
‘বিশ্বাসই হয় না,’ মেয়েটি বলল। ‘তোমার বয়স কত?’
‘আঠারো।’
‘আঠারো?! অথচ কখনো…সত্যি বিরল ঘটনা। তুমি সত্যি সত্যিই কখনো…’
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, সত্যি।’
‘অসুবিধে নেই। সব ভার ছেড়ে দাও আমার ওপর। দেখো, কী যে তৃপ্তি! ভুলতে পারবে না।’
মেয়েটি তারপর তাকে বেডরুমে ঢুকিয়ে বসাল বিছানার ওপরে। পর্দা টেনে দিয়ে চালু করে দিল মৃদু সংগীত।
‘একটু অপেক্ষা করো,’ মেয়েটি বলল ফিসফিস করে। ‘আমি এখনই আসছি।’
দরজার আড়ালে হারিয়ে গেল সে।
জল পড়ার ঝিরঝির শব্দ ছেলেটির কানে বেজে উঠল পরিচিত গানটির মতো ‘পাঁচ মিনিট, পাঁচ মিনিট…’
‘তুমি রেডি? আমি আসছি,’ শোনা গেল মেয়েটির গলা। ‘আর একটু ধৈর্য ধরো…আর এক সেকেন্ড। ব্যস, চোখ বন্ধ করো।’
ভেসে এল পায়ের মৃদু শব্দ, অবর্ণনীয় সুগন্ধ।
চোখ-বন্ধ-করা অবস্থাতেই দুহাত সামনে বাড়িয়ে ধরল ছেলেটি। তার হাতের তালু অনুভব করল উষ্ণতা আর আর্দ্রতা।
চোখ খুলে সে দেখল বড় এক বাটি। সেখান থেকেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে নুডলসের ক্ষুধাবর্ধক সুবাস।
‘দেখলে তো,’ বলে মেয়েটি পরশ করল ছেলেটির গালে। ‘বলেছিলাম না, পাঁচ মিনিট! এটা হলো ইনস্ট্যান্ট নুডলস। খাও, জলদি খাও, নয়তো ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।’
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ১৭, ২০১১
No comments:
Post a Comment