মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল আমার স্ত্রীর। চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে দেখলেন, আমি বিছানায় নেই। বিছানা থেকে নেমেগায়ে চাদর চাপালেন তিনি। তারপর আমাকে খুঁজতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমেএলেন। বেশি খুঁজতে হলো না। রান্নাঘরের টেবিলেই বসে থাকতে দেখতেপেল আমাকে।হাতে গরম এক কাপ কফি নিয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছি আমি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, গভীর কোনো চিন্তায় মগ্ন। মাঝেমধ্যে অবশ্য হাতের রুমাল দিয়ে চোখ থেকে জল মুছে ...নিচ্ছি, তারপর কফি খাচ্ছি।
পেত্নি থুক্কু প্রত্নী--- ‘কী হয়েছে তোমার?’ রান্নাঘরে ঢুকতে ঢুকতে চিন্তিতভাবে বললেন স্ত্রী। ‘এত রাতে রান্নাঘরে কেন?’
আমি আমার স্ত্রীর দিকে তাকালাম। তারপর গম্ভীর হয়ে বললাম, ------‘হঠাৎ ৩০ বছর আগের কথা মনে পড়ল। খেয়াল আছে তোমার, যেদিন আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। আর তার পর থেকেই তো আমরা ডেট করতে শুরু করেছিলাম। তোমার বয়স ছিল ষোলো। তোমার কি মনে পড়ে সেসব?’
স্ত্রী আমার চোখের জল মুছেদিতে দিতে জবাব দিলেন,---- ‘হ্যাঁ, অবশ্যই মনে আছে।’
আমি একটু থেমে বললাম,----- ‘তোমার কি মনেআছে, যোদপুর পার্কে তোমার বাবা আমাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন?’
স্ত্রী----‘হ্যাঁ, আমার মনে আছে।’
একটা চেয়ার নিয়ে স্বামীর কাছে বসতে বসতে বললেন স্ত্রী।
আমি আবার বললাম,---- ‘মনে আছে, তোমার বাবা তখন রেগে গিয়ে আমার মুখে শটগান ধরে বলেছিলেন, ‘এক্ষুনি আমার মেয়েকে বিয়ে করো, নয়তো তোমাকে ৩০ বছর জেল খাটাব আমি।’
স্ত্রী নরম সুরে বললেন------, ‘আমার সবই মনে আছে।’
আমি আবার গাল থেকে চোখের জল মুছতে মুছতে বললাম, ------‘আজকে আমি জেল থেকে ছাড়া পেতাম পুরাপুরি মুক্ত হয়ে যেতাম..
No comments:
Post a Comment