Wednesday 27 June 2012

আমার স্ত্রীর রেওয়াজ

 আমার কয়েকজন বন্ধু এসেছিল বাড়িতে-তখন আমার বউ রেওয়াজ করছিল ----- 
আমি ব্যপারটা সহজ করার জন্য বললাম- আমার বউয়ের যে গান শুনলেন এর জন্য আমার বহু টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। 
দিলীপ বললো-- হ্যাঁ, তা তো হবেই। নির্ঘাত প্রতিবেশীদের সঙ্গে মামলা লড়তে হয়।

টয়লেট পেপারের রসিদ

 বিক্রেতা: এই নিন আপনার টয়লেট পেপার। রসিদ লাগবে?
ক্রেতা: আপনি কি চান আমি এটা ব্যবহার করার পর আবার ফেরত দিতে আসি?

প্রেম দ্বিগুণ

কদিন হোল আমি এক জনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি আমার মুটি বউ সেটা যানতে পেরে আমায় বল্ল---- : ছিঃ ছিঃ তুমি আরেকজনের সঙ্গে প্রেম করছ ?
আমী : তুমিই না বলেছিলে বিয়ের পর প্রেম দ্বিগুণ করতে ।

( তারপরের কথা না বলাই ভাল মাগো কি মারটাই না দিল ঝাঁটা দিয়ে )
প্রেমে মাতাল হওয়া যায় বটে, তবে বাংলায় খরচ কম।

বাসে এক ভদ্রমহিলাকে রেগে গাঁট্টা মেরে আদালতে উঠতে হয়েছিল -------

বিচারক বললেন,------ ‘আপনাকে দেখেশুনে তো মনে হয়না আপনি এমন বাজে কাজ করতে পারেন। কিন্তু বাসের সবাই সাক্ষী।
এ কাজ আপনি করতে গেলেন কেন?’ 
আমি বললাম, ‘হুজুর, শুনুন তবে কেন এমন স্বভাববিরোধী কাজটা করেছি। আমি যচ্ছিলাম মন্দিরার স্কুলে দেখা করতে - ভদ্রমহিলার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি। বাসটা যাচ্ছিল বাঙ্গুর এ্যভিনিউ থেকে বেকবাগান। সিটে বসেই তিনি হাতের বড় ব্যাগটা খুললেন,
তা থেকে একটা ছোট ব্যাগ বের করলেন। তারপর বড় ব্যাগটা বন্ধ করে ছোট ব্যাগটা খুললেন উনি। তা থেকে একটা ১০ টাকার নোট বের করে ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন। তারপর বড় ব্যাগটি খুলে ছোট ব্যাগটি তার ভেতর পুরে বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন। কন্ডাক্টর ইতিমধ্যে দূরে সরে যাওয়ায় ভদ্রমহিলা আবার বড় ব্যাগটি খুললেন, ছোট ব্যাগটি বের করলেন। বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন, ছোট ব্যাগটি খুলে টাকাটা ছোট ব্যাগে পুরলেন। তারপর ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন, বড় ব্যাগটি খুললেন—!’ 
বিচারক অধৈর্য হয়ে বললেন, ‘কী একশবার ছোটব্যাগ-বড়ব্যাগ, বড়ব্যাগ-ছোটব্যাগ করছেন! ইয়ার্কি পেয়েছেন?’ 
আমি সবিনয়ে বললাম-, ‘হুজুর, আপনি দুই মিনিট শুনেই ধৈর্য হারিয়ে ফেললেন? ঝাড়া আধঘণ্টা ধরে দুই শত একত্রিশ বার চোখের সামনে এই জিনিস দেখার পর আমি গাট্টাটা মেরেছি।’ 
 বিচারক রায় দিলেন, ‘কেস ডিসমিসড।’ 
( ন্যায় বিচার- পরিবত্তনের হাওয়া হ্যাঁ )

Monday 25 June 2012

ভালোবাসা যুগে যুগে----

বিংশ শতাব্দী ১৯০২ কবি-কবিতার পরিচয় হলো এক গানের আসরে। ভালো লাগা, বন্ধুত্ব, প্রণয়।
১৯০৪ কবি যায় রাজধানীতে আর কবিতা মফস্বলে থাকে, কথা হয় মনে মনে, দেখা হয় চিঠিতে!
১৯০৯ কবি-কবিতার বিয়ে হলো। কবিতা পাড়াগাঁয়ে থাকে আর কবি থাকে শহরে। দুজনের দেখা হয় দুই দিনের লঞ্চভ্রমণ শেষে। তিন মাসে একবার। কবি-কবিতার মনে খুব কষ্ট।
একবিংশ শতাব্দী ২০০২ টোনাটুনির পরিচয় হলো নেটে। ভালো লাগা, বন্ধুত্ব, প্রেম। ২০০৪ টোনা যায় বিদেশ, টুনি দেশে থাকে। কথা হয় চ্যাটে। দেখা হয় ওয়েবক্যামে।
২০০৯ টোনাটুনির বিয়ে হলো। টোনা থাকে ঢাকা, টুনি পড়ে চিটাগাং। দুজনের দেখা হয় ছয় ঘণ্টা বাসভ্রমণ শেষে মাসে দুইবার। টোনাটুনির মনে খুব কষ্ট।
দ্বাবিংশ শতাব্দী ২১০২ ফ্রুক্টো-ফ্রুক্টিকার পরিচয় হলো ইন্টারগ্যালাকটিক সাইবার কানেকশনে। ভালো লাগা, বন্ধুত্ব, প্রেম।
২১০৪ ফ্রুক্টো মঙ্গলে যায়, ফ্রুক্টিকা পৃথিবীতে থাকে। কথা হয় পারসোনেল স্যাটেলাইটে। দেখা হয়, এক্সট্রা পাওয়ার হাই ফিল্ড টেলিস্কোপে। ২১০৯ ফ্রুক্টো-ফ্রুক্টিকার বিয়ে হলো। ফ্রুক্টো থাকে মঙ্গলের ফোবসে, ফ্রুক্টি থাকে বৃহস্পতির এক উপগ্রহে। দুজনের দেখা হয় ছয় মিনিটের আলট্রাসনিক এয়ার ভ্রমণ শেষে, দিনে একবার। ফ্রুক্টো-ফ্রুক্টিকার মনে খুব কষ্ট।

Saturday 23 June 2012

সার্টিফিকেট

সার্টিফিকেটটা ছিল যেকোনো সার্টিফিকেটের মতোই। গতানুগতিক। ‘টু হুম ইট মে কনসার্ন। অত্র সার্টিফিকেটের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যাইতেছে যে, পৃথিবী গোলাকার।’
ব্যস। এরপর স্বাক্ষর আর সিলের জন্য ফাঁকা জায়গা।
 —গোলাকার?
—জিজ্ঞেস করলাম। 
—ইচ্ছে হলে লিখে দিন সমতল। আমার কোনো সমস্যা নেই। শুধু সার্টিফিকেটটা সঙ্গে থাকলেই হলো। নইলে অনেকে বিশ্বাস করতে চায় না। সিল-ছাপ্পড় না থাকলে সন্দেহ করে।
শুনে রাগ চেপে গেল আমার। 
—বিশ্বাস করে না মানে? মগের মুল্লুক নাকি! এই পারমাণবিক আর মহাশূন্যযাত্রার যুগে! যখন আমাদের মাথার ওপরে সব সময় ঘুরছে অজস্র কৃত্রিম উপগ্রহ! যখন প্লেনে পুরো পৃথিবী চক্কর দিতে সময় লাগে কয়েক ঘণ্টা! তা ছাড়া যেকোনো স্কুলবালকও তো জানে এই কথা! ছোট-বড় বিশ্বকোষগুলোতেও স্পষ্টভাবে লেখা আছে…
দর্শনার্থী দুই হাত ঝাঁকাল শুধু। তারপর বলল:
 —হুবহু ঠিক এই কথাগুলোই আমি তাদের বলেছি। কিন্তু তারা আমার কথা বিশ্বাস করেনি। সার্টিফিকেট চায়।
সিলটা টেবিলে তুলে কলমটা হাতে নিলাম, সার্টিফিকেটটা আবার পড়লাম পুরোটা এবং চিন্তায় পড়ে গেলাম বেশ।
ওদিকে দর্শনার্থী শান্ত হচ্ছে না কিছুতেই। 
সে বলল:
—আমি তাদের ভালোমতো বুঝিয়ে বলেছি, বলেছি কোপারনিকাস প্রমাণ করে গেছেন এ কথা, গ্যালিলিওকে অনেক ভুগতে হয়েছে এই সত্য বলার কারণে, আর খ্রিষ্টানরা তো ব্রুনোকে পুড়িয়েই মেরেছে। ওরা পাত্তা দেয়নি আমার কথায়। মাথা ঝুঁকিয়ে বলেছে, বর্তমান যুগে সার্টিফিকেট ছাড়া সব কথাই অচল।
আমি উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলাম। 
পৃথিবী গোলাকার—এ কথাটা জানা এক কথা, আর সেটা সার্টিফিকেটে লেখা—সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। তার ওপরে আবার সই করা! হঠাৎ যদি ওপর থেকে নির্দেশনা আসে—এখন থেকে পৃথিবী কিউব-আকারের বলে গণ্য করা হবে? তাহলে? তখন দায়িত্ব নেবে কে? গ্যালিলিও? 
—না,
—দৃঢ়কণ্ঠে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সিলটা সরিয়ে ফেললাম টেবিল থেকে। পৃথিবীর গোলাকৃতি বিষয়ে কোনো দায়িত্ব আমি নিতে পারব না। সে ক্ষমতা আমাকে দেওয়া হয়নি।
দর্শনার্থীকে হতচকিত মনে হলো।
 —সে কেমন কথা! আপনিই না একটু আগে বললেন, পারমাণবিক যুগ আর কৃত্রিম উপগ্রহের কথা! বললেন ছোট-বড় বিশ্বকোষের কথা!
দর্শনার্থী যখন হাঁটা ধরল দরজার দিকে, তখন তাকে এত অসুখী দেখাচ্ছিল যে তাকে কয়েকটি সান্ত্বনাবাক্য না বলে পারলাম না। 
—শুনুন, এতটা হতোদ্যম হবেন না। আরেকটু ওপর মহলে চেষ্টা করে দেখুন। জীবনে কখনো আশা হারাবেন না।

দারুণ

কী দারুণই না হতো, যদি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় শূন্য মানিব্যাগ চার্জে দিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে টাকাভর্তি মানিব্যাগ পাওয়া যেত!

বিনা মূল্যে একটা উপদেশ-

আমার মত আপনিও সবসময় মানিব্যাগে আপনার স্ত্রীর ছবি রাখুন। যখনই বড়ো কোনো সমস্যায় পড়বেন তখন মানিব্যাগ বের করে স্ত্রীর ছবিটা দেখবেন, আর মনে করবেন এর চেয়ে বড় সমস্যা আর কিছুই হতে পারে না। যেমন আমি মনে করি ।

প্রশ্নোত্তর –

আমার একটা প্রশ্ন ছিল… 
—বলুন… 
—কবে আমরা সুখে থাকতে শুরু করব? 
—কারা? 
—ধরুন, আমি। 
—বয়স কত? 
—চল্লিশ। 
—স্বপ্ন দেখা বাদ দিন।
 —আমার সন্তানেরা? 
—বয়স কত তাদের?
 —দশ আর পনেরো। 
—দুরাশা। 
—নাতি-নাতনিরা? 
—আপনার? 
আমার। 
—সম্ভাবনা খুবই কম। 
—নাতি-নাতনির ছেলেমেয়েরা? 
—আপনার?
—আমার। 
—এত ঘ্যানঘ্যান করছেন কেন?
 —আচ্ছা, ধরা যাক, আপনার। 
—অপ্রাসঙ্গিক চিন্তা করছেন। 
—কী নিয়ে করা দরকার? 
—কিছু নিয়েই না। কাজ করা দরকার, কাজ!
 —কেন? 
—ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনির কথা ভেবে… 
—কার? 
—উফ! এত স্বার্থপরায়ণ আপনারা! 

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারি ০২, ২০১২

জঙ্গলে মাছির গুরুত্ব –

এই ধরাধামে সবকিছুই পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বিশ্বাস হয় না? আচ্ছা, আমি বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রমাণ করে দেখাচ্ছি।
কিছুদিন আগে জনপ্রিয় এক পত্রিকায় বড়ই কৌতূহলোদ্দীপক এক ঘটনার কথা পড়েছিলাম। কোথায় যেন, আমেরিকা নাকি আফ্রিকা মনে পড়ছে না। এক জঙ্গল ছিল। ঘন গাছগাছালি ও নানাবিধ প্রাণীতে ভরা। সেখানে বাস করত এক প্রজাতির মাছি। একদম একরত্তি, সারাক্ষণই ভোঁ ভোঁ করে। একেবারেই অপ্রয়োজনীয় এক প্রাণী। সর্বোপরি, তারা সবাইকে কামড়ায়—মানুষ, জীবজন্তু কাউকেই বাদ রাখে না। মানুষের শরীরে ফুসকুড়ি উঠে যায় এদের কামড়ে। তো মানুষ স্থির করল, মাছিগুলোকে নির্বংশ করতে হবে। ডিডিটি-জাতীয় কী একটা পাউডার ছড়াল তারা জঙ্গলে। সব মাছি মরে ভূত হয়ে গেল। এরপর কী হয়েছিল জানেন? খুবই ভয়াবহ এক ব্যাপার।
অচিরেই এই জঙ্গল থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল এক জাতের ছোট ছোট পাখি, যাদের প্রধান খাদ্য ছিল ওই মাছি। এরপর হারিয়ে গেল বড় পাখির দল, যারা ওই ছোট ছোট পাখি ধরে ধরে খেত। পাখিকুলের অনুপস্থিতিতে ক্ষুদ্রাকৃতির নানাবিধ কীটপতঙ্গের সংখ্যা বেড়ে উঠল প্রবলভাবে। আগে এই কীটপতঙ্গগুলো পাখিদের ভয় পেত খুব। তো অলক্ষুণে এই কীটপতঙ্গের পাল ঘাস-পাতাসহ সব শ্যামলিমা কুরে কুরে খেয়ে সাফ করে ফেলল। নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল ঘাস, উধাও হয়ে গেল দুই প্রজাতির হরিণ—ঘাস ছাড়া জীবনধারণ যাদের পক্ষে সম্ভব নয়। বিলুপ্ত হতে শুরু করল শিকারি প্রাণীগুলোও—বাঘ, জাগুয়ার। হরিণ ছাড়া তাদের অভুক্ত থাকতে হয় যে।
কিছুদিন পর জঙ্গলটি নিষ্প্রাণ হতে শুরু করল। তারপর একদিন এর ওপর দিয়ে বয়ে গেল শুকনা, গরম হাওয়া। জঙ্গলের জায়গায় এখন মরুভূমি।
খুদে এক মাছির কারণে কী লঙ্কাকাণ্ডটাই না ঘটে গেল!…
গল্পটা বললাম এই কথা প্রমাণ করতে যে সবকিছুই একটা ‘চেইন’-এর সঙ্গে যুক্ত।…এই যে দেখুন, সভ্যতার অগ্রগতি কেন হচ্ছে? হচ্ছে, কারণ নতুন নতুন কলকারখানা বানানো হচ্ছে হরদম, সেসবে উৎপাদন করা হচ্ছে নতুন নতুন সব জিনিস। নতুন নতুন জিনিস বানানো সম্ভব হচ্ছে কীভাবে? কারণ বিজ্ঞান এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে। বিজ্ঞান কীভাবে সামনে এগিয়ে যেতে পারছে? কারণ বিজ্ঞানী নিত্যনতুন আইডিয়ার জন্ম দিচ্ছেন। বিজ্ঞানী নতুন নতুন আইডিয়া দিচ্ছেন কীভাবে? কারণ তিনি বসে বসে চিন্তা করেন, রাতে ঘুমান না। রাতে তিনি ঘুমান না কেন? কারণ এই মুহূর্তে আমি তাঁর জানালার নিচে দাঁড়িয়ে গান গাইছি।
আমি গান গাইছি কেন? কারণ পান করেছি।
এখন আমি আপনাদের একটা প্রশ্ন করতে চাই: সামগ্রিক পারস্পরিক সম্পর্কের এই সার্বিক ব্যাপারটি মাথায় রেখে আমাকে বলুন তো, একটি দিনও পান না করার অধিকার আমার আছে?
না, নেই। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে ইতিহাস আমাকে ক্ষমা করবে না। 

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারি ০২, ২০১২

Tuesday 19 June 2012

Studying

New Exam Format

সংজ্ঞা … প্রেমের সংজ্ঞা …………

Gyan

Magic

রাজনীতি

রাজনীতি আজ ব্যবসা এক 
পূঁজির দরকার নাই 
দরকার সুধু মামা কাকার 
পেতে টিকিট টাই 
বোকা বানায় মিথ্যা বলে 
সোনার পাথরবাটি 
ভোটটা গেলে পাঁচটি বছর 
চোষায় আমের আঠি 
আমরা গাধা তাইতো মরি 
পড়ে নেতার ফাঁদে 
লক্ষ স্বপ্ন দেখায় নেতারা 
প্রতি ভোটের আগে, 
ভাইকে লড়ায় ভায়ের সাথে 
রক্তে খেলে হোলি – 
মোদের ভোটে জিতেই নেতা 
ভরে নিজের ঝুলি,- 
সতর্ক হও চোকটি খোলো 
বাছাইকর তাদের 
যারা মানুষের জন্য খাটে 
জেতাও এবার ওদের-।।

প্রাচ্য নয় পাশ্চাত্ত্য

প্রাচ্য নয় পাশ্চাত্ত্য আজ 
মোদের আরাধ্য  
এই ধারা বদলে দেবার 
আছে কার সাধ্য – 
নারী এখন মডেল সম 
পরে মিনি স্কাট 
মায়ের আঁচলের পরিবর্তে 
ছাঁদন টপ এর ছাঁট 
আলতা সিঁদুর শাঁখা পলা 
উলু আর শাঁখে ফুঁ 
হারিয়ে গেছে কালের সাথে 
বলবো-কি বন্ধু, 
পুরুষ এখন স্মাট হয়েছে 
আগের দিনের চেয়ে 
ঘরের বউকে ভাল লাগেনা 
পরস্ত্রীর সঙ্গ পেলে 
পারকে বারে নেশার সাথে 
স্বল্প বাসের নারী 
ডেটিং ছাড়া লিভটুগেদার 
করতে মজা ভারি- 
পরকীয়া আভিজাত্য আজ 
মনে রেখ সবে- 
যুগের সাথে তাল মেলাতে 
এটাই করতে হবে-।।

Sunday 17 June 2012

শুধু শান্তি চাইগোওওওওওওওওও

alt text

নবদম্পতি

নবদম্পতির মঝে ঝগড়া হয়েছে
স্ত্রী: আমি বাপের বাড়ি চলে
যাচ্ছি

স্বামী: এই নাও ভাড়া
স্ত্রী: কত দিচ্ছ? এতে তো ফেরার ভাড়া হবে না

ভুতের রাজা-------

কালকে রাতে একলা আমি
ফিরছিলাম যখন বাড়ি
পথের মাঝে ভুতের রাজা
থামিয়ে দিল গাড়ি
বললো আমায় আছিস কেমন ?
বিমষ্য কেন মন ?
বললাম আমি ভিতুর মতন
সুধাবেন না আর সে কথন
আমার বাড়ি মালিক আছে
যাচ্ছি আমি তরইকাছে
ভিষন রকম বদমেজাজি
বড়ি গেলেই মারবে ঝাঁজি
বলবে কেন এতো রাতে
ফিরলে তুমি বাড়ির পথে?
দাওনা তিনটি বর গুরু
জীবন করি নুতন শুরু ।
বললো রাজা ঠিক আছে
তিনটি বর দিচ্ছি তোকে
বল কিচাই আমারকাছে
কি কি তোর দরকার আছে ?
বললাম আমি দাও গুরু
হাজার চোখ বিনা ভুরু
তথাস্থু যেই বলেন তিনি
অবাকহয়ে গেলুম আমি
সব্বাঙ্গ মোর চক্ষে ভরা
যায়না দেখা হাড় পাঁজড়া
একইজনকে হাজার দেখি
এ কোনতালে আমি পড়েছি
চাইলাম আমি বর দ্বিতীয়
চোখগুলকে বিদায় দিও
তিনি বললেন তথাস্থুযেই
দেহে আমার কোন চোখনেই
এ আবার কি বিপদ হল
নিযের চোখও চলেগেল
তৃতীয় বরটি নিলাম চেয়ে
তবে চোখ পেলাম ফিরে
আমার কিকোন লাভ হল
তিনটে বরই ফালতু গেল
যদি বিবেক প্রেম বুদ্ধী চেতাম
তাল আমি সফল হতাম
স্বাথ্য মগ্নহয়ে যে আমি
করেছি কাল এই বোকামি
বউ শুনে আমার কথা
মেরেছে দিয়ে মুড়োঝাঁটা
ছিল এসব মোর কপালে

‘এক্স’ পারফিউম

আমি প্রতারণা ও ক্ষতিপূরণের মামলা ঠুকে দিয়েছি পারফিউম কোম্পানি ‘এক্স’-এর বিরুদ্ধে। আমার (51+) অভিযোগ,  বার বছর ধরে ‘এক্স’ পারফিউম ব্যবহার করেও তরুণীদের মন কাড়তে পারেননি আমি।
অথচ প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপনে ফলাও করে প্রচার করা হয়, ওই পারফিউম গায়ে মাখলে তরুণীরা ছেলেদের প্রেমে পড়ে যায়। আজ অবধি কোনো তরুণী আমার দিকে ফিরেও চায়নি। মামলায় হারলে "এক্স" ক্ষতিপূরণ বাবদ আমাকে টাকা দেবে নাকি একজন বান্ধবী জুটিয়ে দেবে, সেটাই দেখার বিষয়।

Thursday 14 June 2012

একে কখন লাল কার্ড

কাল আমার প্রেমিকার বাড়িতে বসে নতুন কেনা থ্রিডি টিভিতে ফুটবল ম্যাচ দেখছিলাম ফুটবল-ভক্ত আমি হঠা টের পেলাম, প্রেমীকার বাবা বাড়িতে এসে হাজির তাও আসছে একেবারে ড্রইংরুমের দিকেই জান বাঁচাতে আর কোথাও পালানোর জায়গা না পেয়ে আমি শেষে টিভির পেছনেই ঠাঁই করে নিলাম এদিকে প্রেমিকার বাবাও এসে বসল টিভির সামনে খেলা দেখতে, নড়াচড়ার নাম নেই আমি দেখলাম, এখানে বসে থাকলে ম্যাচটা আর দেখা হবে না তাই আর সহ্য করতে না পেরে আমি টিভির পেছন দিক থেকে বের হয়েই এলাম তাকে দেখে প্রেমিকার বাবাতো ভীষণ অবাক বলল, -------‘আরে! একে কখন লাল কার্ড দিল রেফারি ? দেখলাম না তো!’

মাতাল আমি

মাতাল আমি : (টলতে টলতে এক ভদ্রলোকের
সামনে গিয়ে) এ্যাঁই, আমাকে একটা ট্যাক্সি ডেকে দাও।ভদ্রলোক
: আমি দারোয়ান নই। একজন পাইলট!মাতাল আমি: বেশ, তবে একটা প্লেনই ডেকে দাও!

ঝি

পাড়ার বৌদি: অবাক কান্ড  সন্ধ্যা! তোমার বাড়ির
ঝি এত আগে চলে আসে আমাদেরটা
তো আটটার আগে দেখাই দেয় না। কিছু বললে বলে, অন্য লোক দেখেন- আমি পারব না
বউ: অনেক বুদ্ধি খাটাতে হয়েছে ভাই। শেষে ওর সঙ্গে আমাদের ছোকরা গোয়ালার পরিচয় করিয়ে দিলাম- এখন
নিজের গরজেই আসে

Wednesday 13 June 2012

Will Power

Will-power

কাল্পনিক কিছু ছবি যা কিনা কল্পনার জগৎকে হার মানায়

I LOVE YOU in 21 different language

English - I love you

Bengali - Aami Tumaake Bhaalo Baashi

Polish - Ja Kocham Ciebie

French - Je T'aime

Hindi - Hum Tumhe Pyar Karte Hai

Czech - Miluji Te

Slovakian - Lu'Bim Ta

Italian - Ti Amo

Ukrainian - Ya Tebe Kahayu

German - Ish Libe Dish

Chinese - Wo Ai Ni

Greek - S'agapo

Hawaian - Aloha Wau Ia Oi

Lithuianian - Tav Myliu

Korean - Sa Rang Hae Yo

Japanese - Ai Shi Te Ru

Romanian - Te Ubsec

Bosnian - Volim Te

Albanian - Te Dua

Filipino - Mahal Kita

Spanish - Te Amo

this is......I Love You In 21 Different Languages!


GOD
* . *.*. * . ** . *.*OPEN
** . *.*. * . * . * THE WINDOWS
* .. * . * ..* * . *.*. * OF HEAVEN
¸.•´¸.•*´¨) ¸.•*¨) * . *.*LOOK TO ME
(¸.•´ (¸.•` *.*.*.** . *.*. *AND ASK
...*(¨`•.•´¨) .*.*.*.*.* * . *.*. *WHAT IS YOUR
. * .`•.¸(¨`•.•´¨) * . * . * . * ...*DREAM
. * .*.. *`•.¸.•´* (¨`•.•´¨) * . *FOR
* .. *..(¨`•.•´¨). *`•.¸.•´* . *TODAY?
..* ... *`•.¸.•´ * *. * . * . * ... *I
* . * . * . . * . *.*. * . * . *ANSWERED:
___00000___00000 *.*. * . * .. *GOD
__0000000_0000000. * . * . *TAKE
__0000 OOOO 00000. * . * . *CARE
___0000000000000 * . * . * . *OF
____00000000000 * . *. * . * .*PERSON
______0000000 * . *. * . * . * .. * . *.*THAT
________000 * . *. * . * ... * . *.*IS
_________0* . * .. ** .. * . *.*READING
* . * .. ** .. * . * . * . * . *.*THIS
.. * . (\ *** /) * . *.*.*POST
.* . * ( \(_)/ ) * * .BECAUSE,
.* . * (_ /|\ _) . *. * TIS PERSON IS
.* . * . /___\ * . . * . *SO
*. * . * . * . . * *SPECIAL
FOR ME....

Friday 8 June 2012

স্লিম হওয়ার সিক্রেট

মন্দিরা: কি গো, ডায়েট করছো নাকি? তোমাকে ইদানিং বেশ স্লিম লাগছে। সিক্রেটটা কী?

আমি: “দারিদ্রতা”।

পায়খানা, প্রস্রাব এবং রক্ত = আণ্ডারওয়ার

আমরা বয়স্ক দম্পত্তি ডাক্তারের কাছে গেলাম। ডাক্তার দেখেশুনে বৃদ্ধ আমাকে বললেন, আপনার পায়খানা, প্রস্রাব এবং রক্ত পরীক্ষা করতে হবে।
আমি বৃদ্ধ বললাম, কী?

ডাক্তার আবার বললেন।

আমি এবারও শুনতে পেলাম না।

ডাক্তার তখন একটু জোরে বললেন, আপনার পায়খানা, প্রস্রাব এবং রক্ত পরীক্ষা করতে হবে।
এবার বৃদ্ধা আমার বউ আমার দিকে ঘুরে বললেন, ডাক্তার তোমার আণ্ডারওয়ারটি চাইতেছেন।

রবীন্দ্রগবেষণা

রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তো গবেষণা কম হলো না। অনেকেই গবেষণা করেছেন তাঁর সৃষ্টি নিয়ে। তাহলে ‘রস+আলো’ বাদ যাবে কেন? তাই ‘রস আলো’র পক্ষ থেকে এবার রবীন্দ্রগবেষণায় নেমেছে।

‘কূলের কাছাকাছি আমি ডুবতে রাজি আছি’-----
এই অংশ পাঠের পর আমাদের মনে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন? রবীন্দ্রনাথ কূলের কাছাকাছি ডুবতে রাজি আছেন, কেন তিনি মাঝনদীতে ডুবতে চাইছেন না? তবে কি তিনি সাঁতার জানেন না? সাঁতার না জানার ভয়েই কি মাঝনদীকে ভয় পাচ্ছেন? বিশ্বকবি সাঁতার জানতেন না, এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। মেনে নেওয়া যায় না।

‘আমার এ দেহখানি তুলে ধরো’ 
এই অংশটা রবীন্দ্রপ্রতিভার একটি অসাধারণ উদাহরণ। বিশ্বকবি আগেই জানতেন, ভারত নামের দেশটা দুর্নীতিবাজে ভরে যাবে। অতঃপর সেই দুর্নীতিবাজদের কয়েকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে ব্যাপক প্যাঁদানি দেবে। প্যাঁদানির চোটে বেচারারা হয়ে পড়বে কাহিল। এ কারণে ঠিকমতো হাঁটতেও পারবে না। আদালতভবনে আসার আগে পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে আসতে হবে তাদের। এসব দুর্নীতিবাজের পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে হাঁটার দৃশ্যটি মনে করে কবি লিখেছেন, ‘আমার এ দেহখানি তুলে ধরো’।’ 

‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরদিন কেন পাই না?’ 
দূরদর্শী রবীন্দ্রনাথ এ গানটি লিখেছেন আমাদের বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা নিয়ে। কবি জানতেন, এমন এক সময় আসবে যখন বিদ্যুতের দেখা পাওয়াই হয়ে উঠবে বিরাট মুশকিলের ব্যাপার। ২৪ ঘণ্টায় মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাবে মানুষ। এই পরিস্থিতির কথা চিন্তা করেই কবির সপ্রশ্ন জিজ্ঞাসা, ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না ?’ 

‘আমারে তুমি অশেষ করেছ, এমনি লীলা তব
ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ, জীবন নব নব \’
এই দেশের রাজনীতিবিদদের কথা মনে করে লেখা হয়েছে এই লাইন দুটো। দেশের কাঁধে ভর করে ক্ষমতায় এসে রাজনীতিবিদেরা দুহাতে টাকা কামানো শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁদের টাকার ভান্ডার হয়ে যায় অশেষ। অবশ্য বিরোধী দলে চলে গেলে তাঁদের টাকা আবার কিছুটা ফুরিয়ে যায়। তবে সেটা বেশি দিনের জন্য না। পাঁচ বছর পর আবার যখন তাঁরা ক্ষমতায় আসেন, তখন আবার তাঁরা হয়ে ওঠেন টাকার কুমির। জীবন হয় নব নব।

‘নাই রস নাই, দারুণ দাহনবেলা’ 
রবীন্দ্রনাথ অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে অনুভব করেছিলেন, একদা এই দেশে রস+আলো নামে একটা ম্যাগাজিন বের হবে। সঙ্গে এ কথাও তিনি জেনেছিলেন, ওই ম্যাগাজিনে তাঁর গান আর লেখা নিয়ে গবেষণা হবে, যেখানে সূক্ষ্মভাবে তাঁর সৃষ্টিকর্মের বারোটা বাজানোর চেষ্টা করা হবে। তাই আগেভাগেই তিনি ‘নাই রস নাই, দারুণ দাহনবেলা’—এ কথা বলে সবাইকে রস+আলো পড়তে বারণ করে দিয়ে গেছেন। এ কথাও জানিয়ে গেছেন, রস+আলোতে রস নাই।

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ১০, ২০১১

ভালো কাজের পুরস্কার

নতুন বছরের প্রথম দিন মালিক বলছেন চাকরকে, ‘গত বছর তুই বেশ ভালো কাজ করেছিস। এই নে ১০ হাজার টাকার চেক। 
এ বছর এমন ভালো কাজ দেখাতে পারলে আগামী বছর চেকে সই করে দেব!’
লাথি মার ভাঙরে তালা, যতসব বন্দীশালা, আগুন জ্বালা।
অশিক্ষিত মাঃ খোকন, এত বাজে কথা কোথা থেকে শিখেছ?
খোকাঃ মা, এ তো আমার কথা নয়, নজরুলের কথা।
মাঃ তাহলে আর কখনো ওসব বাজে ছেলের সঙ্গে মিশবে না।
জীবন আমার গতি হারা
ধরা পড়িয়া প্রেমের বাঁধে
ভালবাসার শ্যাওলা ধরা
স্রোত বিহীন তাই আজকে
প্রেম বন্ধনে বাঁধা পড়েছি
গতি স্থির হয়ে গেছে তাই
কেমনে আবার স্রোত পাব
তাহাতো আমার জানা নাই
অদৃশ্য এই বন্ধন মোরে
করেছে আজ অকরর্মণ্য
আজ আমি জলাধার সম
স্থির হয়েযে হয়েছি ধন্য-

কপালটাই খারাপ

আমি হোটেলে পানীয় সামনে নিয়ে বসে অনেক কথা ভাবছি। এমন সময় বিশালদেহী এক লোক এসে আমার সামনে রাখা কোমল পানীয়টা কেড়ে নিয়ে খেয়ে ফেলল।
হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করলাম আমি ।

বিশালদেহী: ‘আরে, কাঁদছেন কেন মশাই! আমি আপনাকে আবার কিনে দিচ্ছি।’ 

আমি: ‘আর বলবেন না, ভাই, আমার কপালটাই খারাপ। আমার সবকিছুই লোকে কেড়ে নিয়ে যায়। বছরজুড়ে আমি কেবল নিঃস্বই হলাম। বছরের শুরুতেই বস আমার চাকরিটা কেড়ে নিল, বাড়িভাড়া দিতে পারছিলাম না বলে বছরের মাঝামাঝি এসে বাড়িওয়ালা কেড়ে নিল ঘরের চাবি, বউটাও কেড়ে নিল অন্য লোকে। রাগে-দুঃখে বছরের শেষে আত্মহত্যা করব বলে বসেছিলাম এখানে। পানীয়র সঙ্গে বিষ মিশিয়ে মাত্র খাব বলে ভাবছি, তা-ও আপনি কেড়ে নিলেন!’

ডাক্তারী পরার্মশ


এক বিগত যৌবনা চিত্রভিনেত্রী তার ডাক্তারের কাছে এসে জানালেন, আজকাল অল্পতেই তিনি হাঁপিয়ে ওঠেন, কিছুতেই তার ভালো লাগে না।

পরীক্ষা করে ডাক্তার জানালেন শরীরে আপনার ভালোই আছে। তেমন কোনো রোগ নেই। আসলে আপনার দরকার হচ্ছে চেঞ্জ-এর।
চেঞ্জ ?– অভিনেত্রী বললেন কত আর চেঞ্জ করবো? জানেন গত দু বছর আমি দুটি
স্বামী, তিনটে বাড়ি, চারটে চাকর, পাঁচটা রাধুনী চেঞ্চ করেছি। এটা কোন
ডাক্তারী পরার্মশ হল!