বিচারক বললেন,------ ‘আপনাকে দেখেশুনে তো মনে হয়না আপনি এমন বাজে কাজ করতে পারেন। কিন্তু বাসের সবাই সাক্ষী।
এ কাজ আপনি করতে গেলেন কেন?’
এ কাজ আপনি করতে গেলেন কেন?’
আমি বললাম, ‘হুজুর, শুনুন তবে কেন এমন স্বভাববিরোধী কাজটা করেছি। আমি যচ্ছিলাম মন্দিরার স্কুলে দেখা করতে - ভদ্রমহিলার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি। বাসটা যাচ্ছিল বাঙ্গুর এ্যভিনিউ থেকে বেকবাগান। সিটে বসেই তিনি হাতের বড় ব্যাগটা খুললেন,
তা থেকে একটা ছোট ব্যাগ বের করলেন। তারপর বড় ব্যাগটা বন্ধ করে ছোট ব্যাগটা খুললেন উনি। তা থেকে একটা ১০ টাকার নোট বের করে ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন। তারপর বড় ব্যাগটি খুলে ছোট ব্যাগটি তার ভেতর পুরে বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন। কন্ডাক্টর ইতিমধ্যে দূরে সরে যাওয়ায় ভদ্রমহিলা আবার বড় ব্যাগটি খুললেন, ছোট ব্যাগটি বের করলেন। বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন, ছোট ব্যাগটি খুলে টাকাটা ছোট ব্যাগে পুরলেন। তারপর ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন, বড় ব্যাগটি খুললেন—!’
তা থেকে একটা ছোট ব্যাগ বের করলেন। তারপর বড় ব্যাগটা বন্ধ করে ছোট ব্যাগটা খুললেন উনি। তা থেকে একটা ১০ টাকার নোট বের করে ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন। তারপর বড় ব্যাগটি খুলে ছোট ব্যাগটি তার ভেতর পুরে বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন। কন্ডাক্টর ইতিমধ্যে দূরে সরে যাওয়ায় ভদ্রমহিলা আবার বড় ব্যাগটি খুললেন, ছোট ব্যাগটি বের করলেন। বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন, ছোট ব্যাগটি খুলে টাকাটা ছোট ব্যাগে পুরলেন। তারপর ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন, বড় ব্যাগটি খুললেন—!’
বিচারক অধৈর্য হয়ে বললেন, ‘কী একশবার ছোটব্যাগ-বড়ব্যাগ, বড়ব্যাগ-ছোটব্যাগ করছেন! ইয়ার্কি পেয়েছেন?’
আমি সবিনয়ে বললাম-, ‘হুজুর, আপনি দুই মিনিট শুনেই ধৈর্য হারিয়ে ফেললেন? ঝাড়া আধঘণ্টা ধরে দুই শত একত্রিশ বার চোখের সামনে এই জিনিস দেখার পর আমি গাট্টাটা মেরেছি।’
বিচারক রায় দিলেন, ‘কেস ডিসমিসড।’
( ন্যায় বিচার- পরিবত্তনের হাওয়া হ্যাঁ )
No comments:
Post a Comment